Wednesday, July 3, 2019

আদালতের মাধ্যমে স্বামীকে বিচ্ছেদ পদ্ধতি

আদালতের মাধ্যমে স্বামীকে বিচ্ছেদ পদ্ধতিঃ

আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদঃ

স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকে তাওফিজ ক্ষমতা না দেয় এবং খুলা তেও রাজি না হয় সেক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীর আদালত স্বীকৃত নয়টি দোষের এর যেকোনো একটি দোষ প্রমাণ করে আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে।

আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটাতে হলে স্ত্রীকে তার স্বামীর আদালত স্বীকৃত নয়টি দোষের মধ্য থেকে যেকোনো একটি দোষ উল্লেখ করে আদালতে আবেদন করতে হবে। আদালত অভিযোগটি যথাযথ বলে মনে করলে স্ত্রীর পক্ষে বিচ্ছেদের ডিক্রি দিতে পারবেন।

আদালত স্বীকৃত স্বামীর নয়টি দোষঃ

১। চার বছর পর্যন্ত স্বামী নিরুদ্দেশ হলে।
২। দুই বছর স্বামী স্ত্রীর খোরপোষ দিতে ব্যর্থ হলে।
৩। স্বামীর সাত বৎসর কিংবা তার চেয়েও বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ড হলে।
৪। স্বামী কোন যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত তিন বছর যাবত দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে।
৫। স্বামী বিবাহের সময় পুরুষত্বহীন থাকলে এবং তা মামলা দায়ের করা পর্যন্ত বজায় থাকলে।
৬। স্বামী দুই বছর ধরে পাগল থাকলে অথবা কুষ্ঠ ব্যাধিতে বা মারাত্মক যৌন ব্যধিতে আক্রান্ত থাকলে।
৭। স্ত্রী বিবাহ অস্বীকার করলে। কোন মেয়ের বাবা বা অভিভাবক যদি আঠারো বছর বয়স হওয়ার আগে মেয়ের বিবাহ দেন তাহলে মেয়ে আঠারো বছর বয়স হওয়ার পর বিবাহ অস্বীকার করে বিবাহ ভেঙে দিতে পারে। তবে মেয়েটির স্বামীর সঙ্গে যদি দাম্পত্য সম্পর্ক (সহবাস) স্থাপিত না হয়ে থাকে তখনই কোন বিবাহ অস্বীকার করে আদালতের বিচ্ছেদের ডিক্রি চাইতে পারে।
৮। স্বামী 1961 সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের বিধান লংঘন করে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করলে।
৯। স্বামীর নিষ্ঠুরতার কারণে।

স্বামীর আদালত স্বীকৃত নিষ্ঠুর ব্যবহার সমূহ

ক। অভ্যাসগত স্ত্রীকে আঘাত করলে বা নিষ্ঠুর আচরণ দ্বারা উক্ত আচরণ দৈহিক মিলনের পর্যায়ে না পড়লেও তার জীবন অসহনীয় করে তুলেছে এমন হলে।
খ। স্বামী খারাপ মেয়ের সাথে জীবন যাপন করলে।
গ। স্ত্রীকে অনৈতিক জীবন যাপনে বাধ্য করলে।
ঘ। স্ত্রীর সম্পত্তি নষ্ট করলে।
ঙ। স্ত্রীকে ধর্ম পালনে বাধা দিলে।
চ। একাধিক স্ত্রী থাকলে সকলের সাথে সমান ব্যবহার না করলে।
ছ। এছাড়া অন্য যেকোনো কারণে (যে সকল কারনে মুসলিম আইনে বিবাহের চুক্তি ভঙ্গ করা হয়)।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: