Monday, January 17, 2022

তারুফী বয়ান : হিজরত নুসরতের কথা

তারুফী বয়ান : হিজরত নুসরতের কথা
তারুফী বয়ান : হিজরত নুসরতের কথা

তারুফী বয়ান : হিজরত নুসরতের কথা।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ পাকের বহুৎ বড়  এহসান, আর ফজল ও করম তিনি নিজ দয়ায়, নিজ মায়ায় আমাদের সকলকে মসজিদে আসার তৌফিক দান করেছেন। আল্লাহ পাক যাদের পছন্দ করেন, তাদেরই মসজিদে আসার তৌফিক দান করেন। তারপর দ্বীনের এক ফিকির নিয়ে বসার সুযোগ দিয়েছেন। এক লাখ বা দুই লাখ চব্বিশ হাজার পয়গাম্বর যে কাজ করে গেছেন আমাদের সেই কাজে লাগিয়েছেন। সে জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি, আলহামদুলিল্লাহ্।

কুরআনের ঘোষণা এই যে, হে দুনিয়ার মানুষ তোমরা আল্লাহ কে এক বলে স্বীকার করে নাও, তোমরা কামিয়াব হয়ে যাবে। অর্থাৎ তোমরা জান্নাতি হয়ে যাবে।

মানুষ যখনই দ্বীন থেকে গাফেল হয়ে গেছে, আখিরাতকে ভূলে দুনিয়ামুখী হয়েছে, একমাত্র আল্লাহপাকের উপর ভরসাকে ছেড়ে সৃষ্ট বস্তুর উপর একীন করেছে তখনই আল্লাহপাক মানুষের কামিয়াবী ও নাজাতের জন্য পর্যায়ক্রমে লক্ষাধিক নবী রাসূলকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। প্রত্যেক নবী রাসূলই মানুষকে এক আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিয়েছেন। দ্বীনকে দুনিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সমস্ত নবী ও পয়গাম্বর কষ্ট মুজাহাদা সহ্য করে গেছেন।

Read Also: তাবলীগের ৬ (ছয়) নম্বর বয়ান

হযরত ইব্রাহীম আঃ নমরুদের আগুনে প্রবেশ করেছেন। হযরত ইউনুছ আঃ মাছের পেটে গিয়েছিলেন, হযরত ঈসা আঃ এর পরে ছয়শত বছরের উর্ধে দ্বীনের দাওয়াত না থাকার কারণে কাবাগৃহে ৩৬০ টি দেব মূর্তি আশ্রয় নিয়েছিল। আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) নবুওয়াত প্রাপ্ত হয়ে দ্বীনের দাওয়াত যখন মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছাতে লাগলেন তখন তাকে অপমানিত ও লাঞ্চিত হতে হয়েছে। যে দেহে মশা মাছি পড়া হারাম ছিল, সেই দেহে তায়েফবাসীরা পাথর মেরে শরীর রক্তাক্ত করে দিয়েছিল। এমনকি তাহার জুতা মোবারক পায়ে আটকে গিয়েছিল। তবুও তিনি তাদের অভিশাপ দেন নাই। 

Read Also: কুতুব উদ্দিন শাহ্ (বুরুজ) পাগল পন্হী ফকির এর জীবন কাহিনী

মক্কার কাফেররা যখন চরমভাবে কষ্ট দিতে লাগল তখন সাহাবীদের দুটি জামাত আফ্রিকার আবিসিনিয়া নামক দেশে হিজরত করেন। আবিসিনিয়ার অধিবাসীরা এই জামাতকে সর্বদিক থেকে সাহায্য সহযোগিতা করে কিন্তু দ্বীন কবুল করে নাই। ফলে সেখানে দ্বীন জিন্দা হয় নাই। পরবর্তীতে নবিজী (সাঃ) আল্লাহ পাকের হুকুমে মদীনায় হিজরত করেন। মদীনা বাসীরা তাঁহাকে জান-মাল ও সময় দিয়ে নুছরত করেন ও সেখানে দ্বীন জিন্দা হয়।পাখি যেমন এক ডানা দিয়ে উড়তে পারে না, সাইকেল যেমন এক চাকা দিয়ে চলতে পারে না ঠিক তেমনি হিজরত এবং নুসরত ছাড়া দ্বীন জিন্দা হয় না।যারা হিজরত করেছিল তারা মুহাজের নামে এবং যারা নুছরাত করেছিল তাহারা আনছার নামে পরিচিত।

Read Also: সার্বিকভাবে ইসলামিক জীবন পরিচালনার জন্য কিছু নিয়মিত আমল

হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরতকারী এবং নুসরতকারী অর্থাৎ মোহাজের এবং আনসারদের জন্য গুনাহ মাফের দোয়া করেছেন, তাদেরকে খাটি মুমিন বলেছেন। তাদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক রিযিক এবং তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত।বিশেষ করে আনসারদের জন্য অনেক দোয়া করেছেন। নবীজী এক জায়গায় বলেছেন, হে আল্লাহ আপনি আনসার ও তাদের পুত্রদের এবং তাদের পৌত্রদের মাফ করে দিন। অন্য বর্ননায় এরকম আছে যে তাদের স্ত্রীগণকেও মাফ করে দিন। তাদের প্রতিবেশী এবং গোলামদের মাগফিরাতের জন্যও দোয়া করেছেন।

আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেন "তোমরা যদি একটি কথাও জান তবে অন্যের নিকট পৌঁছিয়ে দাও।" 

ভাই দ্বীনের দাওয়াতের একটি নকল হরকত নিয়ে এক মুবারক জামায়াত আপনাদের মহল্লার মসজিদে উপস্থিত।আমরাতো ভাই অল্প সময়ের জন্য আপনাদের এলাকায় হিজরত করে এসেছি এজন্য আপনাদের কাছ থেকে নুসরত বা সহযোগিতা কামনা করছি। হতে পারে আপনাদের এবং আমাদের সম্মিলিত চেষ্টার ফলে এই মহল্লায় দ্বীনী পরিবেশ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ। জামায়াত এই মসজিদে ৩ দির থাকবে। কোন কোন ভাই নুছরতের জন্য তৈরি আছেন।

Read Also: তাবলীগের ৬ (ছয়) নম্বর বয়ান


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: