Friday, January 13, 2017

BAN vs NZ প্রথম টেস্ট পরিসংখ্যান

BAN vs NZ প্রথম টেস্ট পরিসংখ্যান

BAN vs NZ (2017)

BAN-NZ 2017 ম্যাচে সাকিবের দিন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টের দ্বিতীয় দিন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের রেকর্ড জুটিতে বিশাল সংগ্রহ গড়ছে বাংলাদেশ।  সাকিব, মুশফিকের ব্যাটে রানের পাহাড় ।ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক পেলেন সাকিব আল হাসান। অবশেষে নিউ জিল্যান্ডে রান পেলেন মুশফিকুর রহিম। দুই জন পঞ্চম উইকেটে গড়লেন রেকর্ড ভাঙা এক জুটি। তাতে প্রথম ইনিংসে বিশাল সংগ্রহ গড়ছে বাংলাদেশ।    

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৪২/৭। ১০ রানে ব্যাট করছেন সাব্বির রহমান। অতিথিরা আর কতদূর যাবে তা নির্ভর করছে এই তরুণের ওপর।    

শেষ সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ২১৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলে ফিরেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বিদায় নেন ১৫৯ রান করে। দিনের শেষ বলে আউট হন তরুণ মেহেদী হাসান মিরাজ।  দিনের প্রথম সেশনে ১১৫ ও দ্বিতীয় সেশনে ১২২ রান যোগ করে বাংলাদেশ।   

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের আলো ঝলমলে দিনে রান দেওয়ার শতক করেছেন নিল ওয়াগনার (৩/১২৪), ট্রেন্ট বোল্ট (২/১২১) ও টিম সাউদি (২/১৪৪)।  দিনের শেষ বলে মিরাজ আউট   দিনের শেষ বলে আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজ। দেশের বাইরে নিজের প্রথম ইনিংসে এই তরুণ ফিরেন শূন্য রানে। নিল ওয়াগনারের বলে টিম সাউদি স্লিপে ক্যাচ নেওয়ার সময় ১৩৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫৪২/৭।  রেকর্ড গড়ে ফিরলেন সাকিব    বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়ে ফিরেন সাকিব আল হাসান। নিল ওয়াগনারের বলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দলের স্কোর তখন ৫৩৬/৬।   

২৭৬ বলে ২১৭ রান করতে ৩১টি চার হাঁকান সাকিব। এই ইনিংসেই টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড নিজের করে নেন তিনি।    সাকিবের আউটের পর ছুটে এসে তার সঙ্গে হাত মেলান নিউ জিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা।  তামিমকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস সাকিবের   তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ এখন সাকিব আল হাসানের। ১ রান নিয়ে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ২০৬ রানকে ছাড়িয়ে যান তিনি।   

সাকিব রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার পর দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে সতীর্থকে অভিনন্দন জানান তামিম।   গাপটিল-ম্যাককালামকে ছাড়িয়ে সাকিব-মুশফিক   বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড সিরিজে যে কোনো জুটিতে সর্বোচ্চ রান এখন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের।    

৩৫৯ রানের জুটিতে তারা পেছনে ফেলেন মার্টিন গাপটিল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। নিউ জিল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছিলেন ৩৩৯ রানের জুটি।  অধিনায়কের বিদায়ে ভাঙল রেকর্ড জুটি   মুশফিকুর রহিমকে আউট করে করে ৮২.২ ওভার স্থায়ী ৩৫৯ রানের বিশাল জুটি ভাঙেন ট্রেন্ট বোল্ট। অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।    

২৬০ বলে ২৩টি চার ও একটি ছক্কায় ১৫৯ রান করেন মুশফিক। শেষ বিকেলে অধিনায়কের ফেরার সময় দলের স্কোর ৫১৯/৫।  সাকিবের দ্বিশতক   কাট করে চার হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দ্বিশতকে পৌঁছান সাকিব আল হাসান। টেস্টে বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিশতক পেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।    

২৫৩ বলে দ্বিশতকে যেতে ৩০টি চার হাঁকান সাকিব। সে সময় অন্য প্রান্তেই ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিশতক করা মুশফিকুর রহিম।  সাকিব-মুশফিকের ২ হাজার রান তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েসের পর টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জুটি হিসেবে দুই হাজার রান স্পর্শ করেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।    

টেস্টে তাদের জুটির শতক আছে তিনটি, অর্ধশতক ১৪টি।    ৪৮ ইনিংসে ইমরুল-তামিমের রান ২ হাজার ২২৯।  নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ   ট্রেন্ট বোল্টের বলে মুশফিকুর রহিমের চারে পাঁচশ ছাড়ায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। এক রান নিয়ে দলকে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ এনে দেন অধিনায়ক। ১২২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫০৩/৪।    

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৩ সালে চট্টগ্রামে করা ৫০১ রান।  আবার জীবন পেলেন সাকিব  ৪ রানে মিচেল স্যান্টনার ছাড়েন সহজ ক্যাচ। ১৩৭ রানে ক্যাচ নিয়েও মাটিতে বল ছোঁয়ান উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিং। ভাগ্যকে পাশে পাওয়া সাকিব আল হাসানকে আবার জীবন দেন রস টেইলর। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়ার সময় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ছিলেন ১৮৯ রানে।  

মুশফিকের ছক্কায় জুটির রেকর্ড  টেস্টে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়তে কেন উইলিয়ামসনকে ছক্কা হাঁকান মুশফিকুর রহিম; পঞ্চম উইকেটে রান হয় ৩১৬।   

টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ জুটি ছিল তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের অধিকারে। এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে তুলেছিলেন ৩১২ রান। সাকিব-মুশফিক জুটির তিনশ’  ১১২তম ওভারের শেষ বলে নিল ওয়াগনারের বলে মুশফিকুর রহিমের ১ রানে তিনশ’ স্পর্শ করেন।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.